মাহফুজ নান্টু।।
স্কুল বন্ধ রাতে কলা গাছ সংগ্রহ করে বাড়ীর পাশে শুরু হলো শহীদ মিনার বানানো। । কাগজে মোড়ানো হলো কলাগাছ। পাড়ার সব শিশু এক হয়ে রাতের মধ্যে বানানো শেষ করলো শহীদ মিনার। বড়দের থেকে কিছু টাকা নিয়ে শহীদ মিনারের চারপাশে রঙ্গীন কাগজ দিয়ে বেড়া তৈরী করা হলো।
কাঠাল গাছের ডালা কেটে এনে তাতে টাঙ্গিয়ে দিলো অ আ ই ঈ ক খ গ ঘ।
ক্লান্ত শরীর নিয়ে মাঝ রাতে সবাই ঘুমাতে গেলো। ভোরে ঘুমতে উঠেই শুরু করলো ফুল সংগ্রহ।
বেলা সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত চললো ফুল সংগ্রহ। এবার শ্রদ্ধা জানানোর পালা। একে একে হাতে করে কেউ আনলো কুমড়ো ফুল, কেউবা আনলো কলমি ফুল। পথে কুড়িয়ে আনা লাল শিমুল ফুলও আনলো। দলবেঁধে শিশুরা তাদের হাতে বানানো কলাগাছের শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানালো।
কলাগাছ দিয়ে শহীদ মিনার বানানো ও তাতে শ্রদ্ধা জানানোর এমন ঘটনা কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বানাশুয়া গ্রামে। এ গ্রামের সর্দার বাড়ীর স্কুল পড়ুয়া সিফাত, জাহিন ও সিফাতের নেতৃত্বে অন্তত কুড়িজন শিশু শহীদ মিনার তৈরী করে।
রিফাত স্থানীয় একটি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ে। রিফাত জানায়, রাতে পাড়ার একটি বাড়ী থেকে কলাগাছ সংগ্রহ করেন। পরে বাড়ীর পাশে খোলা জায়গায় শহীদ মিনার বানায়।
পঞ্চম শ্রেনীর জিহান জানায় এবার স্কুলে যাইতে না করছে।স্কুল বন্ধ। আমডা হগ্গলে মিল্লা শহীদ মিনার বানাইছি।
বানাশুয়া সর্দার বাড়ী কর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন রাতে উনার নাতী ভাতিজারা মিলে শহীদ মিনার বানাতে চাইছে। সকালে তারা শহীদ মিনারে কুমড়া ফুল, তুলা ফুল দিছে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page